লুৎফর হাসানের কবিতা

 


সন্ধ্যের আলো ফুরাবার সঙ্গে সঙ্গে 

আমিও কি নিভে যাচ্ছি প্রিয়তমা, 

চোখ মেলতেই ক্যামন ঘন অন্ধকার 

কান পাতলেই থোকা থোকা ঝিঁঝিঁর মিছিল, 

তুমি কেন হতে পারছো না 

অনিন্দ্য রাতের সমার্থক, 

আঁচল বিছিয়ে দিতেই যেখানে 

ঝুরঝুর পড়বে তারার ফুল,  

জোছনার আলোয় শাদা হবে 

বিস্তৃত দূর্বার মাঠ, 

গায়ে গা মিলিয়ে কুয়াশা ছুটলেও 

কিছুটা ঝাপসা থাকবে দৃশ্যপট, 

এই মিথ্যে শীতের সময়েও 

মনে হবে কোথাও টাঙ্গানো নেই পর্দার আড়াল, 

আমি ক্রমশ বেশ একলা হয়ে যাচ্ছি 

তুমি এসে হাত ধরো প্লিজ। 

অন্তত এই সম্মুখ রাতের পথটুকু 

পার করে দাও সামান্য আদরে, আশ্রয়ে 

যেমন করে ছেলেবেলায় ঘর হতে বেরুতাম 

আম্মার হাতের অসীম নির্ভরতায় আর 

উঠোনে এসে দেখতাম বাঁশ পাতার ছায়ায় 

জোছনার অপূর্ব কারুকাজ, মনে পড়ে

সেদিন আমি ভয়ের বদলে 

মুগ্ধতায় উল্লাস করেছিলাম। 

আজ এই অনন্ত বয়সের চৌকাঠে পা রেখে 

কেবলই মনে হচ্ছে বাইরের অন্ধকার ছেড়ে 

ঘরে যেতেই তো গ্রাস করবে আরও বেশি কালো

আমি অন্ধ হয়ে যাচ্ছি আগের চেয়ে বেশি, 

তুমি ধরবে না এই হাত আমার চোখ হারাবার আগে? 


____________ লুৎফর হাসান। চার ডিসেম্বর, দুই হাজার একুশ। নিকেতন, ঢাকা।

Post a Comment

0 Comments